SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or
Log in with Google Account

শ্রিম্প কালচার এন্ড ব্রিডিং-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) - সম্পূরক খাদ্য ও খাদ্য উপকরণ

আমাদের দেশে মাছ অথবা চিংড়ি চাষে ব্যবহৃত কিছু প্রচলিত খাদ্য উপকরণ বহুল পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। এই সকল খাদ্য উপকরণই মূলত গলদা চিংড়ির দৈহিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় শর্করা, আমিষ, চর্বি ও অনান্য পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে থাকে। এই সকল খাদ্য উপাদানের উপর পবেষণা করে দেখা গেছে এদের মধ্যে উচ্চমানের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। গবেষণায় প্রাপ্ত গলদা চিংড়ির কিছু খাদ্য উপকরণের পুষ্টিমান নিচের সারণিতে উল্লেখ করা হলোঃ

সারণি: গলদা চিংড়ির কিছু খাদ্য উপকরণের নাম ও তার পুষ্টিমান

উপাদানের নাম

পুষ্টিমান (%)

আমিষ 

শর্করা 

স্নেহ 

চালের কুঁড়া১১.৮৮ ৪৪.৪২ ১০.৪৫ 
গমের তুষি১৪.৫৭ ৬৬.৩৬ ০৪.৪৩ 
সরিষার খৈল৩০.৩৩ ৩৪.৩৮ ১৩.৪৪ 
ভিলের খৈল২৭.২০ ৩৪.৯৭ ১৩.১৮ 
ফিসমিল-এ গোড৫৬.৬১ ৩.৯৭ ১১.১২ 
ফিসমিল বি-গ্রেড৪৪.৭৪ ১৬.৬২ ৭.৮৭ 
ব্লাডমিল৬৩.১৫ ১.৫৯ ০.৫৬ 
আটা১৭.৭৮ ৭৫.৬০ ৩.৯০ 
চিটাগুড়৪.৪৫ ৮৩.৬২ 
ক্ষুদিপানা১৪.০২ ৬০.৮৮ ১.৯২ 
কুটিপানা১৯.২৭ ৫.০.১৯ ৩.৪৯ 

চিংড়ির খাদ্যের পুষ্টিমান নির্ণয়ে মূলত আমিষের মাত্রা হিসেব করা হয়। সাধারণ ঐকিক নিয়মে একাধিক উপকরণ ব্যবহার করে তৈরি খাদ্যের পুষ্টিমান সহজেই নিরূপণ করা যায়। নিচে একটি উদাহরণের সাহায্যে খাদ্যে আমিষের মাত্রা নিরূপণ পদ্ধতি দেখানো হলো। ধরা যাক ফিসমিল, সরিষার খৈল, গমের ভুষি এবং বাইন্ডার হিসেবে আটা ব্যবহার করে ১ কেজি খাদ্য তৈরি করা হবে। এক্ষেত্রে ব্যবহৃত উপকরণসমূহের অনুপাত হবে ফিসমিল ২৫%, সরিষার খৈল ২৫%, গমের ভুষি ৪০% ও আটা ১০% ।

সারণি: তৈরি খাদ্যে ব্যবহৃত বিভিন্ন খাদ্য উপকরণের নাম ও মোট আমিষের পরিমাণ

উপকরণ

বিদ্যমান আমিষের পরিমান 

(%)

ব্যবহার মাত্রা
(%)

প্রয়োজনীয় পরিমাণ 

(গ্রাম)

সরবরাহকৃত আমিষ 

(%)

ফিসমিল৫৬.৬১২৫ ২৫০ ১৪.১৫
সরিষার খৈল৩.০.৩৩২৫ ২৫০ ৮.৩৩
গমের ভুষি১৪.১৭৪০ ৪০০ ৫.৮২ 
আটা১৭.৭৮১০ ১০০ ১.৭৮ 
খনিজ লবণ১ চা চামচ 
 মোট ১০০১০০০ ৩০-০৮ 

 

Content added By
Promotion